ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। এই ট্রফি দিয়ে দীর্ঘ দিন পর পাকিস্তানের মাঠে আয়োজিত হবে আইসিসি ইভেন্ট। তাই টুর্নামেন্ট আয়োজনে যেমন সেরাটা দিতে প্রস্তুত পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তেমনি মাঠের লড়াইয়েও সেরাটা দিতে প্রস্তুত আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিপর বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
আসন্ন এই টুর্নামেন্টকে সামরে রেখে বেশ চমক জাগানিয়া স্কোয়াড ঘোষণা করলো পিসিবি। তাদের ঘোষিত ১৮ সদস্যের দলে জায়গা মিলেছে ফখর জামানের। বড় চমক হিসেবে রয়েছে ইমাম উল হক।
স্কোয়াডে থাকা ফখর জামানের মতোই বেশ লম্বা সময় ধরেই জাতীয় দলে ইমাম ছিলেন উপেক্ষিত। ফখর জামানের উপেক্ষিত থাকার কারণ ছিল বোর্ডের সমালোচনা করা। আর ইমাম উল হক বাদ পড়েছিলেন বাজে ফর্মের কারণে। কিন্তু এই দুই ক্রিকেটারকেই পিসিবি ফিরিয়ে এনেছে অভিজ্ঞতার বিবেচনায়। বিশেষত ফখর জামান ছিলেন সবশেষ ২০১৭ আসরের ম্যান অব দ্য ফাইনাল। তাকে ফিরিয়ে আনার দাবিও ছিল অনেকেরই।
পাকিস্তানের নজর ছিল আরও একজনের দিকে, তিনি ইনফর্ম ব্যাটার সাইম আইয়ুব। পাকিস্তানের হয়ে সাদা বলের ক্রিকেটে দারুণ সময় পার করেছিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্টে চোট পেয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, আপাতত ছ’সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে তাকে। ফলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রাথমিক দলে জায়গা হয়নি তার।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানের অধিনায়ক যথারীতি মোহাম্মদ রিজওয়ান। বাবর আজম, শাহিন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের পাশাপাশি সুফিয়ান মুকিম, কামরান গুলাম, ইরফান খান নিয়াজির মতো নতুনদেরও রাখা হয়েছে দলে। পেস বোলিং বিভাগটা বরাবরের মতোই শক্তিশালী পাকিস্তানের জন্য। শাহিন, নাসিম এবং হারিসের দুর্দান্ত ত্রয়ী আক্রমণের বাইরে আছেন মোহাম্মদ হাসনাইন এবং আব্বাস আফ্রিদির মতো পরিক্ষীত মুখ।
পাকিস্তানের গণমাধ্যম সামা টিভি জানিয়েছে, এখনই ১৫ সদস্যের চূড়ান্ত দল আইসিসির কাছে প্রেরণ করেনি পিসিবি। ১৮ জনের সংক্ষিপ্ত এই দলটাই তারা জমা দিয়েছে আইসিসির কাছে। চূড়ান্ত দল ঘোষণার সময়ে ১৫ জনে নামিয়ে আনা হবে স্কোয়াড।
পাকিস্তানের দল : মোহাম্মদ রিজওয়ান (অধিনায়ক), বাবর আজম, তৈয়ব তাহির, ইরফান খান নিয়াজি, সুফিয়ান মুকিম, মোহাম্মদ হাসনাইন, আবদুল্লাহ শফিক, নাসিম শাহ, উসমান খান, শাহিন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফ, আবরার আহমেদ, কামরান গুলাম, সালমান আলি আঘা, ইমাম উল হক, ফখর জামান, হাসিব উল্লাহ, আব্বাস আফ্রিদি।
খুলনা গেজেট/এএজে